খুলনা নগরীর চব্বিশটি বাজারে খেজুর সরবরাহ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন ট্রাকে খেজুর আসছে। এ পর্যন্ত পাঁচ দেশের খেজুর আমদানি হয়েছে। সর্বনিম্ন ১৩৭ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম প্রতি কেজির। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস করেছে, গেল রমজানে যা ছিল ২৫ শতাংশ। এবারে শুল্ক হ্রাস করায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে, কমেছে আমদানি ব্যয়ও।
সূত্র বলেছে, খুলনা নগরীর কদমতলা থেকে প্রতিদিন বস্তা বস্তা খেজুর নগরীর চিত্রালী, বৈকালী, আলমনগর, দৌলতপুর, শেখপাড়া, গল্লামারি বাজার, চানমারী বাজার, রূপসা বাজার, চুকনগর বারআড়িয়া, চালনা, মদিনাবাদ মোকামে যাচ্ছে।
জলিল স্মরণির মদিনা ডেটস এন্ড ফুডসের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, মিশর থেকে মেডজুল, সৌদি থেকে আজওয়া, কলমী মরিয়ম, সুক্কারী, আলবারা নামে খেজুর আমদানি হয়েছে। এছাড়া দুবাই ও মিশর থেকেও রোজা উপলক্ষে খেজুর আমদানি হয়েছে। উন্নতমানের খেজুরগুলো হচ্ছে দাব্বাস, নাগাল, আজওয়া, রাবিয়, জাহিদী, ডেকলেনু, সাফাওয়ি ইত্যাদি। তিউনিশিয়া থেকে আসা খেজুর প্রতি কেজি সাড়ে ছয়শ টাকা, দুবাই থেকে আসা খেজুর প্রকারভেদে কেজি প্রতি তিনশ টাকা থেকে ছয়শ নব্বই টাকা, সৌদি খেজুর কেজি প্রতি তেরশ থেকে দুই হাজার টাকা এবং মিশরিয় প্রতি কেজি দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত রমজানে এ প্রতিষ্ঠানে দেড় লক্ষ টাকার খেজুর বিক্রয় হয়।
খুলনার বড় বাজারের সততা ফল ভান্ডারের মালিক জানিয়েছেন, গত বছর ইরাকি খেজুর প্রতি কেজি একশ ষাট থেকে একশ পয়ষট্টি টাকা এবং দুবাইয়ের খেজুর একই দামে বিক্রয় হয়। এবারে ইরাকি ও দুবাইয়ের খেজুর একশত সাইত্রিশ টাকা থেকে একশত আটত্রিশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্লে রোডের ক্ষুদে ব্যবসায়ী মোঃ রমজান ইসলাম আকাশ জানান, মাধ্যম মানের সৌদি খেজুর কেজি প্রতি ১৮০টাকা, দুবাইয়ের খেজুর ৬০০ টাকা, মিশরের খেজুর ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর সূত্র জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানী শুল্ক কমানোর কারণে আমদানি ব্যয় কমেছে। ফলে এবারের খেজুরের বাজার নগরবাসীর নাগালের মধ্যে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ